
প্রকাশিত: Sat, Apr 29, 2023 9:23 AM আপডেট: Tue, Jun 24, 2025 1:08 PM
হুমায়ুন আজাদ বলেছিলেন, কারাগারের ভেতর অনেক কারাগার!
দেবদুলাল মুন্না : সন/তারিখ মনে নেই। শাহবাগে এল ডরেডো নামের একটি রেস্তেরা ছিলো। ওখানে এক সন্ধ্যায় বসে হুমায়ুন আজাদ আমাকে বলেন, চলো এ মাসে শ্রীমঙ্গল ঘুরে আসি। এর আগে আমরা একবার বান্দরবান গিয়েছিলাম। তিনি ট্রেন জার্নি পছন্দ করতেন না। প্লেন জার্নি তো নাই। তো ওইদিনে তার প্রস্তাবের পাঁচ/ছয়দিনের ভেতরই আমরা শ্রীমঙ্গল যাই। আমাদের সঙ্গে ছিলেন বন্ধু আদিত্য কবীর ও প্রকাশ বিশ্বাস। আমরা শ্রীমঙ্গলে দুপুর বারোটার ভেতর পৌঁছে যাই। সকাল আটটার দিকে জার্নি শুরু করেছিলাম। একটা রেস্ট হাউসে উঠি। একরুমে স্যার আর আমি। অন্য রুমে আদিত্য ও প্রকাশ। তো সেইরাতে বা ওই দুই তিনদিন উনার সঙ্গে বেশ আড্ডা হয়েছিলো। সেই রাতের আড্ডায় অনেক কথা বলেছিলেন।
হুমায়ুন কবীর ছিল উনার আসল নাম। কিন্তু আদিত্য কবীরের আব্বার নাম হুমায়ুন কবীর। এই দুই পরিবারে আবার আত্মীয়তা আছে। ফলে হুমায়ুন আজাদ তার নাম তখন বদলে ফেলেন। বলেছিলেন, একটি মাত্র নামের ভেতরে একটি মানুষ কেন সারা জীবন বসবাস করবে? নাম ইতিহাসে মানুষ পরাধীন, তাই বলে একই নামে থাকতে হবে কেন? আমি আজাদ হয়ে গেলাম তাই।
আমরা ওইবার বেশ কিছু চা বাগান ঘুরি। কালীঘাট, ফুলছড়া, রাজঘাট। একটি ছোট পাহাড়ের ঢালে বসে পানরত অবস্থায় বলেছিলেন, মানুষের জীবন আসলে কিছুই না। মৃত্্ুযর ভেতর দিয়েই সব শেষ হয়, যদিও আমি মৃত্যুচিন্তায় তাড়িত এক মানুষ। কিন্তু বায়োলজিক্যালি ফিতাকৃমির সঙ্গে মানুষের জীবনের কোনো তফাত নেই। একটি কারাগার বাস করছি আমরা। ওই কারাগারের আবার অনেকগুলো প্রকোষ্ঠ আছে। কারাগারের ভেতর অনেকগুলো কারাগার। মতাদর্শের কারাগার। ধর্মের কারাগার। জাতিগত কারাগার। পেশার কারাগার। নামের কারাগার। দলের কারাগার। সঙ্ঘের কারাগার।
হুমায়ুন আজাদের ২৮ এপ্রিল জন্মবার্ষিকী। দিন মনে থাকার কারণ আমার একমাত্র মেয়েরও এদিন জন্মদিন। হুমায়ুন আজাদের সঙ্গে স্মৃতিগুলোও মনে পড়ছে। তিনি বলেছিলেন, কারাগারের ভেতর অনেক কারাগার। তার সঙ্গে সহমত। তিনি এখন কারাগারের বাইরে। আমার জামিন হয়নি বা মুক্তিও পাইনি। লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
